11:05 এ সাইকেলের দু হ্যান্ডেলে দুটো বড় বড় বাজারের থলি ঝুলিয়ে ভটচাজ সাহেব হনহনিয়ে টাউন থেকে ফিরলেন। আমাদের ক্লাস ছিল 11টা থেকে। আমরা বাইরে তখন হৈহৈ করছি। স্যার থলিদুটি কোয়াটারে নামিয়েই কলেজে চলে এলেন। এসেই বললেন, "কাল কি যেন পডিয়েছিলাম ?" ক্লাসনোটে একটু চোখ বুলিয়ে ধিরে ধিরে ল্যাদখেয়ে শুরু করতেন। তারপর যখন স্পিড নিতেন এক ঘন্টার ক্লাস কখন দু ঘন্টা পেরিয়ে যেত ছাত্র শিক্ষক কারোরই খেয়াল থাকত না। উনি পডাতেন power system engineering, কিন্তু electrical engineering এর কোন বিষয়টি না পড়াতে পারতেন ! যেমন ওনার জ্ঞাণ আর তেমনই ছিল ওনার পডানোর সৌন্দর্য । প্রতিটি বিষয় ওনার পডানোর গুনে সহজবোধ্য হয়ে যেত। 3rd year 2nd semesterএ কেবল Mechanical আর Electrical এরই Maths ছিল। যতদূর মনে পডে Vector Calculus ছিল । মিডে মাল এল। তবে কোনোটার মুডো আর কোনোটার ল্যাজা। পুরো একটাও মালের থেকে নয়। মালের বাইরের প্রশ্ন এত শক্ত যে দাঁত ফোটানো যাবে না। মাল দু’পকেট ভর্তি । তাতে বড় জোর ৫০ এ ২৫ হ’বে । "এটা কোনো প্রশ্ন হ'ল?" বলে উদুম কাঁই! ভটচাজ সাহেব তখন acting principal । প্রশ্নটা দেখে বল...
সেদিন একজন ব্যক্তি বলে ফেললেন বাংলা কি প্রাচীন যে একে শিক্ষানীতিতে রাখতে হবে। একটু দেখে নেওয়া যাক ঃ- ১) হিন্দীর উদ্ভব বিগত সহস্রাব্দের প্রথম দিকে।শৌরসেনী প্রাকৃত থেকে।পৃথ্বীরাজ রাসো বা ঢোলা মারুর সুন্দর ভাষা কে হিন্দী বলে ধরা হয়।পরবর্তীতে পারসিক বা আরবী থেকে অনেক শব্দ এসেছে হিন্দীতে।খারিবোলি (দিল্লির হিন্দী উপভাষা)কে মানক হিসেবে ধরলে হিন্দীর বয়স আট শো বছর। ২)এবার দেখা যাক ক্লাসিকাল ভাষা হিসেবে স্বীকৃত ওড়িয়ার উদ্ভব।দ্বাদশ শতাব্দীর মাদলা পঞ্জী (প্রভুর মন্দিরের প্রণম্য গ্রন্থ) ওড়িয়া গদ্যের নিদর্শন বহন করে।সবচেয়ে পুরনো ওড়িয়া লিপির সন্ধান পাওয়া যায় প্রায় ১২৪৯ খ্রীস্টাব্দের কাছাকাছি।ওড়িয়া লিপি এসেছে গৌড় লিপি থেকে। ৩)বাংলা ভাষার উতপত্তি মাগধি প্রাকৃত থেকে।চর্যাপদ কে যদি ধরা হয় বাংলার প্রথম চিহ্ন তাহলে এর প্রাচীনতা হাজার বছরের বেশী। ৪) ভারতের ২২ টা শিডিউলড ভাষা র মধ্যে হিন্দী র পরে সবচেয়ে বেশী লোক বাংলায় কথা বলেন। ৫)ভারতের সাহিত্যে নোবেল একমাত্র বাংলার জন্য এসেছে।তবু বাংলা নিয়ে বাংলা চ্যানেলে বাংলার বুকে বসে মিথ্যাচার করার সাহস পায় লোকে। All languages are beautiful but Bengali has overdue to ...
।। বৃত্ত টা কিন্তুু ছোটো হয়ে আসছে, আপনি সুরক্ষিত তো? ।। শুরুটা হয়েছিল সেই ২০০৬ সালে। তখন পশ্চিমবঙ্গে আসতে শুরু করেছে বড়ো বড়ো বহুজাতিক সংস্থাগুলো, গমগম করছে সল্টলেক-এর বিভিন্ন সেক্টর, তিলধারণের জায়গা নেই দুপুরের লাঞ্চব্রেকে সেক্টর৫-এর রাস্তাঘাটে। রাজারহাট আস্তে আস্তে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে, দেশের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ পরিকল্পিত শহর। ঠিক সেই সময়ে, দুনিয়াজুড়ে আলোড়ন ফেলল, টাটা মোটরসের ১ লাখ টাকার গাড়ির খবর। এবং সবাই জানতে পারল, পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুরে তৈরি হবে পৃথিবীর সবচেয়ে কমদামি গাড়ি। কিন্তুু, স্বপ্ন সত্যি হল না, রাজনৈতিক ফায়দা লোটার লড়াইয়ে স্বপ্ন অস্তমিত হল অচিরেই। আপনি ভাবলেন, "আমি তো সিঙ্গুরে থাকি না, যাক গে, অত শত ভেবে লাভ নেই, আমার সরকারি চাকরি। কারখানা হল কি না-হল, তাতে কী এসে গেল আর আমার।" ক্ষতিটা কি শুধুই সিঙ্গুরের হল? আপনি কিন্তুু তাই মনে করলেন! ২০০৬-এ আপনার ছেলের বয়স ছিল ১৩, এখন সে ২৭। হায়দরাবাদে থাকে ২০১৫ থেকে। আইটি নিয়ে বি.টেক করে চাকরিটা আর কলকাতায় জুটল না, ছেলে প্রবাসী হল। ২০১৬-য় একদিন সন্ধ্যাবেলা গোটা দেশ উত্তাল হয়ে উঠল। অফিস থেকে ফ...
ছিদ্রান্বেষণ #আশীষ কুণ্ডু সবটা দেখতে চাইলেও আমি দেখতে পাই না আমার বোবাচোখ! শালপাতার মুকুট আমার হারিয়ে গেছে আমি বলতে পারি না অবশমুখ! রাতের তারা খসার শব্দ শুনি আমি শুনতে পাই না উন্নাওয়ের জ্বলন্ত অগ্নিশিখা, বধির কান! উন্নয়ন হচ্ছে শহরের আলোকমেলায় আমি বুঝতে পারি না আমার ছাপোষা মন! বারুদের গন্ধ পাই না ইলেকশনের আগে পরে- আমার বদ্ধ নাক অন্যের ছিদ্রান্বেষণে! আমি পাবলিক রিপাবলিক দেশের।
1. দুইটি পরমাণুর ভর সংখ্যা একই হলেও, নিউট্রন সংখ্যা আলাদা হয় কেন? কোন পরমাণুতে প্রোটন সংখ্যার ওপর নির্ভর করে পরমাণুর পরিচয়। যদি পরমাণুতে প্রোটন সংখ্যা পরিবর্তিত হয় তবে পরমাণু টি অন্য কোনো মৌল তে পরিবর্তিত হয়। প্রোটন সংখ্যার ওপর ভিত্তি করেই আধুনিক পর্যায় সারণী তৈরি করা হয়েছে। পরমাণুর ভরসংখ্যা হলো পরমাণুর নিক্লিয়াসে থাকা প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার যোগফল। দুটি আলাদা মৌলের প্রোটন সংখ্যা আলাদা। তাই তাদের ভরসংখ্যা এক হলে নিউট্রন সংখ্যা কমবেশি/আলাদা হবে। ধরি দুটি মৌল A ও B A এর প্রোটন সংখ্যা=x B এর প্রোটন সংখ্যা=y A ও B উভয়ের ভরসংখা= p সুতরাং, A পরমাণুতে মোট নিউট্রন আছে=(p-x) টি। B পরমাণুতে মোট নিউট্রন আছে=(p-y) টি। যেহেতু, x এবং y সমান নয় তাই , (p-x) এবং (p-y) ও সমান হবে না।অর্থাৎ নিউট্রন সংখ্যা সমান হবে না। 2. নিউট্রন কেন আধান নিরপেক্ষ? ১৯৩২ সালে বিজ্ঞানী স্যার জেমস চ্যাডউইক নিউট্রন আবিষ্কার করেন। ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন আবিষ্কার হওয়ার পর সবাই মনে করেছিল এরাই সেই কাঙ্ক্ষিত মৌলিক কণিকা। কিন্তু ১৯৬৪ সালে বিজ্ঞানী মারে গ্যালমেন বললেন .” বিশ্ববাসী আপনারা ...
অহল্যা - প্রণব রায়চৌধুরী 1. বয়ঃসন্ধি হতে না হতেই স্বচ্ছ সরোবরে ফুটে ওঠা পদ্মের মতো নিষ্পাপ লাবণ্যস্বরূপ ত্রুটিবিহীন শোভা প্রতিম তরুণীটির মাল্য বিনিময় হয়ে গেলো এমন একজন বৃদ্ধের সাথে, যিনি মহাজ্ঞানী, ত্রিকালদর্শী মানব শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিখ্যাত ǀ যিনি মেয়েটির শৈশব থেকে নিয়ে তার রজো দর্শনারম্ভ অবধী তত্ত্বাবধান কার্যটি অতি নিষ্ঠার সাথে সমাপন করে অতিরিক্ত প্রীতির পাত্র হয়ে উঠেছিলেন মেয়েটির সৃষ্টিকর্তা পিতার ǀ পুরস্কার স্বরূপ অবিরল সৌন্দর্য্যের অধিকারিণী তন্বীর পানি প্রাপ্তি ǀ বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা ! এ ব্যাপারে বিবাহযোগ্যা কন্যাটির সম্মতির প্রয়োজনটুকু পর্যন্ত জরুরি মনে করেন নি সেদিন কেউ ǀ শুধু তাই নয়, সদ্য বিকসিত যৌবনের কৌতূহলে সখীদের কাছে শোনা স্বামী সন্নিধানে একান্তে নব পরিণীতা বধূর কি কি ধরণের সুখ প্রাপ্তি হয়ে থাকে সেই ঔৎসুক্য নিব্বৃতির প্রত্যাশা প্রত্যাখ্যান হতে থাকে বার বার ǀ আজ কন্যা রজঃস্বলা তো কাল স্বামীর ব্রত পালন ǀ পরের দিন গ্রহ সন্নিবেশ প্রতিকূল নয়! এমনি ভাবে দিনপাত হতে হতে পরিশেষে ভবিতব্য মেয়েটির জীবনে অবিলম্বে ঘনিয়ে আনলো এক নিদারুন পরিণাম - প্রেমিকের বেশে, বিবাহ বহির্ভূত পুরুষ...
চিঠি না লিখলে কি ভাল হতো? অতসত জানিনা, লিখেই ফেলি। অনেকদিন হয়ে গেল তোমাকে পুরনো কিছুই মনে করাব না। এই শরতের দিনগুলো অসম্ভব ভাল বাসাবাসির দিনগুলো শেফালি ফুলের রঙগুলো তোমার চুলের গন্ধগুলো হঠাৎ থমকে থাকা কথাগুলো ফোনে ওদিকের গানগুলো সব আজ মাধুকরী হয়ে স্মৃতি সঞ্চয়। জীবন তবুও চলছে হৃদিহীন পদাতিক। আকাশে তাকাবো? কি রঙে রাঙাবে সে? কে চেনাবে রঙ নদীর পাশে কাশফুল দেখব সে হিম্মৎ ও নেই। সমুদ্রের সঙ্গে সেই কবে আড়ি। এই যে প্রানহীন পরিচয় দিয়ে আমাকে একা ছেড়ে গেছ, তার দায় কে নেবে? শুষ্ক তরুর নীচে, মৃদঙ্গ বাজানোর আর কোন স্পৃহা নেই আমার। ইতি
Comments
Post a Comment
Thank you, Stay connected & subscribe to this blog...