1.দুইটি পরমাণুর ভর সংখ্যা একই হলেও, নিউট্রন সংখ্যা আলাদা হয় কেন?
কোন পরমাণুতে প্রোটন সংখ্যার ওপর নির্ভর করে পরমাণুর পরিচয়। যদি পরমাণুতে প্রোটন সংখ্যা পরিবর্তিত হয় তবে পরমাণু টি অন্য কোনো মৌল তে পরিবর্তিত হয়।
প্রোটন সংখ্যার ওপর ভিত্তি করেই আধুনিক পর্যায় সারণী তৈরি করা হয়েছে।
পরমাণুর ভরসংখ্যা হলো পরমাণুর নিক্লিয়াসে থাকা প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার যোগফল। দুটি আলাদা মৌলের প্রোটন সংখ্যা আলাদা। তাই তাদের ভরসংখ্যা এক হলে নিউট্রন সংখ্যা কমবেশি/আলাদা হবে।
ধরি দুটি মৌল A ও B
A এর প্রোটন সংখ্যা=x
B এর প্রোটন সংখ্যা=y
A ও B উভয়ের ভরসংখা= p
সুতরাং, A পরমাণুতে মোট নিউট্রন আছে=(p-x) টি।
B পরমাণুতে মোট নিউট্রন আছে=(p-y) টি।
যেহেতু, x এবং y সমান নয় তাই , (p-x) এবং (p-y) ও সমান হবে না।অর্থাৎ নিউট্রন সংখ্যা সমান হবে না।
2.নিউট্রন কেন আধান নিরপেক্ষ?
১৯৩২ সালে বিজ্ঞানী স্যার জেমস চ্যাডউইক নিউট্রন আবিষ্কার করেন।ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন আবিষ্কার হওয়ার পর সবাই মনে করেছিল এরাই সেই কাঙ্ক্ষিত মৌলিক কণিকা। কিন্তু ১৯৬৪ সালে বিজ্ঞানী মারে গ্যালমেন বললেন .” বিশ্ববাসী আপনারা যা মনে করছেন তা তা না! ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন মৌলিক কণিকা না। এদর থেকেও ক্ষুদ্র কণিকা আছে। তার নাম হলো কোয়ার্ক!
পৃথিবী এখন পর্যন্ত ছয়টি কোয়ার্ক আবিষ্কার হয়েছে । এর মধ্যে দুই প্রকারের কোয়ার্ক হলো আপ কোয়ার্ক আর ডাউন কোয়ার্ক। এই আপ আর ডাউন দুই ধরণের কোয়ার্ক নিয়েই গঠিত নিউট্রন। তবে নিউট্রন গঠিত দুটি ডাউন কোয়ার্ক এবং একটি আপ কোয়ার্ক।
একটি ডাউন কোয়ার্কের আধানএবং একটি আপ কোয়ার্কের মান
আগেই বলেছিলাম, একটি নিউট্রন দুটি ডাউন এবং একটি আপ কোয়ার্ক নিয়ে গটিত।তাই দুটি ডাউন ও একটি আপ কোয়ার্কের আধানের যোগফলই হবে নিউট্রনের আধান। যোগফলটা এমন—
একটি পরমাণুতে ৩ টি ক্ষুদ্র অংশ থাকে। প্রোটন, নিউট্রন, ইলেক্ট্রন। নিউট্রন এর কোনও বৈদ্যুতিক আধান নেই এবং এর ভর প্রোট কণার ভরের চেয়ে সামান্য বেশি। প্রোটন এবং নিউট্রন মিলে পরমাণুর নিউক্লিয়াস গঠন করে। এই কণাকে নিউক্লিওন বলা হয়।
Comments
Post a Comment
Thank you, Stay connected & subscribe to this blog...