11:05 এ সাইকেলের দু হ্যান্ডেলে দুটো বড় বড় বাজারের থলি ঝুলিয়ে ভটচাজ সাহেব হনহনিয়ে টাউন থেকে ফিরলেন। আমাদের ক্লাস ছিল 11টা থেকে। আমরা বাইরে তখন হৈহৈ করছি। স্যার থলিদুটি কোয়াটারে নামিয়েই কলেজে চলে এলেন।
এসেই বললেন, "কাল কি যেন পডিয়েছিলাম ?"
ক্লাসনোটে একটু চোখ বুলিয়ে ধিরে ধিরে ল্যাদখেয়ে শুরু করতেন। তারপর যখন স্পিড নিতেন এক ঘন্টার ক্লাস কখন দু ঘন্টা পেরিয়ে যেত ছাত্র শিক্ষক কারোরই খেয়াল থাকত না।
উনি পডাতেন power system engineering, কিন্তু electrical engineering এর কোন বিষয়টি না পড়াতে পারতেন !
যেমন ওনার জ্ঞাণ আর তেমনই ছিল ওনার পডানোর সৌন্দর্য । প্রতিটি বিষয় ওনার পডানোর গুনে সহজবোধ্য হয়ে যেত।
3rd year 2nd semesterএ কেবল Mechanical আর Electrical এরই Maths ছিল। যতদূর মনে পডে Vector Calculus ছিল । মিডে মাল এল। তবে কোনোটার মুডো আর কোনোটার ল্যাজা। পুরো একটাও মালের থেকে নয়। মালের বাইরের প্রশ্ন এত শক্ত যে দাঁত ফোটানো যাবে না। মাল দু’পকেট ভর্তি । তাতে বড় জোর ৫০ এ ২৫ হ’বে ।
"এটা কোনো প্রশ্ন হ'ল?" বলে উদুম কাঁই!
ভটচাজ সাহেব তখন acting principal । প্রশ্নটা দেখে বললেন, "প্রশ্ন শক্ত হয়েছে ঠিকই, তবে তিনটে উত্তর করা যায়।" বলে মুখে মুখে তিনটে প্রশ্ন solve করে দিলেন।
এভাবে solve করলে তো আর আমাদের পকেটে এসে যাবে না !
তাই আমরা কাঁই করে blank খাতা জমা করে চলে এলাম।
তবে সেদিন বুঝলাম ফান্ডা কাকে বলে!
আমাদের সময় ভটচাজ সাহেবের দুই ছেলে তখন স্কুলে পডে। 7/8এ মনে হয়। স্যার নিজেই পডাতেন। সন্ধ্যায় ওনার কোয়াটারে গেলে disturbed হতেন। তবু আমরা দরকারে যেতাম আর উনি ঠিক সাহায্য করে দিতেন।
আমি নিশ্চিত, তারা যদি বাবার সমান্য গুনও পায়, এত দিনে অনেক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ।
নিশীথরজ্ঞন অধিকারী
Comments
Post a Comment
Thank you, Stay connected & subscribe to this blog...