সময়টা ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি ইউরোপের আকাশে তখন যুদ্ধের ঘনঘটা ইউরোপের তিন বৃহত্তম শক্তি(রাশিয়া,ব্রিটেন,ফ্রান্স) যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে
হ্যাঁ আমি ক্রিমিয়ার যুদ্ধের,কথা বলছি
যুদ্ধ হলে লোক মরবেই কিন্তু একটা অদ্ভুত ব্যাপার তখন লক্ষ্য করলো সবাই যে, যুদ্ধক্ষেত্রে যে হারে লোক না মরছে তার চেয়ে বেশি হারে লোক মরছে সেনা হাসপাতালে...
Florence Nightingale ১৮৪৪ সালের নভেম্বরের প্রথম দিকে স্কুটারির সেলিমিয়ে ব্যারাকসে পৌঁছেছিলেন (ইস্তাম্বুলের আধুনিক-এস্কেদার)। তার দলটি আবিষ্কার করেছে যে, আহত সৈন্যদের যত্নের বিষয়টি উপেক্ষিত । ওষুধগুলির স্বল্প সরবরাহ ছিল, স্বাস্থ্যবিধি অবহেলা করা হচ্ছিল এবং গণ সংক্রমণ সাধারণ ছিল, যার মধ্যে অনেকগুলি মারাত্মক। রোগীদের খাবার প্রক্রিয়াকরণের কোনও সরঞ্জাম ছিল না।
তাই তিনি ও তার দল মিলে হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন করে দিনরাত অসুস্থদের সেবা করতে লাগলেন।
এরপরের ঘটনা আমরা সকলেই জানি।
আসলে রোগীকে শুধু ওষুধ খাওয়ালেই হয়না তার সেবা শ্রুশ্রুষা করা চাই।
আর এই সেবা শ্রুশুষার কাজ হাসপাতালে করে থাকেন নার্সরা ,যারা দিনরাত্রি এক করে আমাদের সেবায় নিয়োজিত আছেন।
,তা সে সময় মতো ওষুধ দেওয়া হোক,ইনজেকশন দেওয়া হোক,রোগীর দেখাশোনা করে হোক,সমস্ত কিছুই তারা হাসি মুখে করেন।।
বর্তমানে আমরা এক করোনা(covid-19) নামক বিশ্ব মহামারীর সামনে দাঁড়িয়ে,আমাদের মতো দেশে যেখানে ডাক্তার মানুষ্ পিছু ডাক্তারের সংখ্যা নিতান্তই কম ,সেখানে আমাদের ভরসা কিন্তু অল্প চিকিৎসার পাশাপাশি অনেকটা সেবা শ্রুশুষা এবং সেটা সঠিক আর বিজ্ঞান সম্মত হওয়া চাই।
সেজন্যই আজকের দিনে দাঁড়িয়ে নার্সদের কে খুব দরকার যারা সঠিক ভাবে আমাদের দেখাশোনা করে সেরে উঠতে সাহায্য করবে আবার আমাদের বাড়িতে কি কি করা দরকার অর্থাৎ স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনও করবে
তাই সমস্ত নার্স কে আমার অনুরোধ আপনারা এগিয়ে আসুন এই দুর্দিনে হাত থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করুন... ডাক্তারদের সাথে
কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করুন ,আপনারা চিরকাল হাসিমুখ সকলের সেবা করে এসেছেন আপনাদের প্রতি সকলেই কৃতজ্ঞ এবং এই কৃতজ্ঞাতা প্রকাশের কোনো ভাষা নেই....
Comments
Post a Comment
Thank you, Stay connected & subscribe to this blog...