গল্প: জগাখিচুড়ি। লেখা: মাহ্ফুজা রহমান

আম্মুকে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার পর থেকে তার সঙ্গে আমার অধিকাংশ কথাই মেসেঞ্জারে সারতে হয়। অথচ আমরা একই বাসার বাসিন্দা। 

সারাদিন অফিস শেষে বাসায় এসে আব্বুকেই ইদানীং তার কাজগুলো করে নিতে হয়। কখনো বা আমি সাহায্য করি। আম্মু অবশ্য করতে চায়, আব্বুই নিষেধ করেছে। কারণ আম্মু এক হাতে কাজ করে আর অন্য হাতে ফেসবুকিং করে। পানির গ্লাসে পানি না ঢেলে আব্বুর খাবারের থালায় সেদিন পানি ঢেলে দিয়েছে। শুধু এতটুকুই নয়। আব্বুর থালায় তরকারি দিতে গিয়ে কখনো থালার বাহিরে দেয় কখনো বা টেবিলের'ই বাহিরে দিয়ে ফেলে। তারপর থেকে আব্বুর খাবারের দায়িত্ব আব্বু নিজেই নিয়েছে।

এসব নিয়ে বেশ ঝগড়াঝাটি লেগেই আছে পরিবারে। আম্মু অবশ্য ওসবে ভ্রূক্ষেপ করে না। আব্বু রোজ একা একা কতক্ষণ চিল্লা-পাল্লা করে একাই থেমে যান। অথচ আম্মুর প্রোফাইল পিকচারে আব্বু ও আম্মুর একটা সেলফি দিয়ে ক্যাপশনে ইংরেজিতে লেখা, 'হ্যাপি কাপল'।

কেন যে সেদিন অ্যাকাউন্ট'টা খুলে দিয়েছিলাম, এটা ভেবে মাঝেমধ্যে দেয়ালের সাথে মাথা ঠুকাতে ইচ্ছে করে। আব্বু প্রায়ই কটমট দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকায়। আমি অসহায়ের মত তার দিকে তাকাই বলে কিছু আর বলতে পারে না।

মোবাইলফোনে টুং করে একটা শব্দ হলো। ফোনটা হাতে নিয়ে তাকাতেই দেখি আম্মুর মেসেজ, 'তৃষ্ণা?'

'হ্যাঁ। আম্মু বলো।' রিপ্লাইয়ে লিখলাম।

'নাহ্! এভাবে আর হয় না।'

মনে মনে বেশ খুশি হয়ে আম্মুকে জিজ্ঞেস করলাম 'কেন আম্মু?'

ভেবেছি, আম্মু ফেসবুক জগৎ ছেড়ে সংসার জগতে ফিরে আসতে চাচ্ছেন। কিন্তু তিনি আমার ভাবনায় গুঁড়ে বালি ছিটিয়ে লিখলেন, 'কিছু একটা করতে হবে। আমি বেকার বলে তোর বাবা আমার ফেসবুকিং সহ্য করতে পারে না। আজ যদি আমিও রোজগার করতাম, তার টাকায় এমবি কিনতে না হত, তবে আর সে আমাকে মুখের উপর বলতে পারতো না যে আজ থেকে সে আর আমার এমবি কেনার টাকা দিবে না।'

'এখন তাহলে তুমি কি করতে চাও?' নিরাশ হয়ে লিখলাম।

'ফেসবুকে রোজগার করার কোনো উপায় নেই?'

'আছে তো অনেক।'

আম্মু খুব উৎসুক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, 'কী কী? একটু বলতো।'

'শাড়ি, থ্রিপিস, কসমেটিক্স, খাবারসহ এরকম আরও অনেক জিনিসপত্র বিক্রি করে আয় করার সুযোগ আছে অনলাইনে।'

'কীভাবে শুরু করবো বলতে পারিস?'

'অনেকেই এসব কাজের জন্য সদস্য খোঁজে। এড ফি নিয়ে তাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ দেয়। এসব সদস্যদের দিয়ে অনলাইনে তাদের পেজের পণ্য বিক্রি করায়। তুমি প্রথমে এভাবে শুরু করতে পারো। তারপর অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিজেই একটা পেজ খুলে পছন্দের পণ্য বিক্রি করবে।'

'ভালো বুদ্ধি দিয়েছিস৷ তোকে ধন্যবাদ।' সাথে কিছু লাভ ইমোজিও পাঠালো আম্মু।

কয়েকদিন বাদেই আম্মুর ওয়ালের এক পোস্ট দেখে আমার চোখ কপালে উঠলো। বিশটা এক হাজার টাকার ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লেখা, 'আপনারাও চাইলে আমার মত ঘরে বসেই আয় করতে পারেন এর থেকেও দ্বিগুণ টাকা। অনলাইনে শুধুমাত্র শাড়ি ও থ্রিপিস বিক্রি করে আমি এক মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করেছি। প্রথমে আমিও আপনাদের মত এই কথাটা বিশ্বাস করিনি যে এসব বিক্রি করে এত টাকা আয় করা যায়। পরে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এক আপুর মাধ্যমে যোগ হলাম তার পেজের বিক্রেতা হিশেবে৷ এখন আমি বুঝেছি, কথাটা আসলেই সত্য। আপনারাও এমনভাবে ঘরে বসে আয় করতে চাইলে আমাকে ইনবক্স করুন।'

পোস্টের কমেন্ট বক্সে লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। আমি তাড়াতাড়ি আম্মুর রুমে গিয়ে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলাম। তারপর যা শুনলাম তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।

'আরে ধুর! কী এক যন্ত্রণায় পড়লাম। তিনশত টাকা দিয়ে এক গ্রুপে বিক্রেতা হিসেবে যোগ হয়েছি অনেক দিন হয়ে গেল। কিন্তু এখন অব্দি এক টাকাও আয় করতে পারিনি। যে আপার মাধ্যমে গ্রুপে যোগ হয়েছি সে আজ বুদ্ধি দিল, এভাবে লিখে পোস্ট করতে। তাতে লোকের আগ্রহ বাড়বে, কাজ করতে চাইবে আর এড ফি'র অর্ধেকটাতো আমি পাবো। টাকার ছবিটাও সে দিয়েছে।'

ঘটনা শুনে আমি চুপচাপ আমার রুমে এসে বসে পড়লাম। উত্তরে বলার মত কিছু আমার মাথায় আসছিল না।

কয়েকদিন পর আম্মু মেসেজে জানালো, 'এভাবে এক দুই'শত টাকা দিয়ে আর হবে না তৃষ্ণা। নিজেই এবার পেজ খুলবো। তাহলে যদি তোর বাবাকে বড় মুখ করে বলতে পারি।'

আমি লিখলাম, 'এত টাকা কোথায় পাবে তুমি?'

'আমার জমানো কিছু টাকা আছে।'

পরদিন দেখি আম্মু বাসায় একগাদা থ্রিপিস আর শাড়ি নিয়ে হাজির। 
জিজ্ঞেস করলে বললো, 'এগুলো পাইকারি দরে কিনেছি। এখন উচ্চদামে বিক্রি করবেো অনলাইনে। একটা পেজও খুলে ফেলেছি।'

আমি জিজ্ঞেস করলাম, 'কী নাম পেজের?'

'অনেক ভেবে চিন্তে একটা সুন্দর নাম বের করেছি। নামটা হলো- আপনাকে স্মার্ট লাগবেই। সুন্দর হয়েছে না নামটা?' 

আমি হতভম্ব চেহারায় মাথা ঝুকালাম।

'তোকেসহ আমার ফ্রেন্ড লিস্টের সবাইকে ইনভাইট করেছি। তুই তোর লিস্টের সবাইকে ইনভাইট করে দিস। এখন থেকে লাইভে যাবো নিয়মিত। আস্তে আস্তে টাকা জমিয়ে ব্যবসা বড় করবো। তখন আমি নিজেই একটা শোরুম দিবো খুলনাতে। তোর বাবা তখন বুঝবে আমিও পারি।'

আমি শুধু দাত কেলিয়ে 'হুম' বলে চলে এলাম। অনলাইনে গিয়ে নোটিফিকেশন চেক করতেই আম্মুর পেজ পেয়ে যাই 'আপনাকে স্মার্ট লাগবেই'। কী আর করার! দিলাম লাইক। 

এখানেই আম্মু ইতি টানলো না। তারপর থেকে রীতিমত আমাকে শত শত গ্রুপে ইনভাইট করে চলছে আম্মু। সে দাওয়াত গ্রহণ করতে করতে আমার দিন কাটে। ফেসবুকে আমার নিউজফিড জুড়ে তার বিক্রয় পোস্ট দেখতে দেখতে চোখে সব এখন জামা-কাপড় দেখি। অনেকে তো বিরক্ত হয়ে আম্মুর টাইমলাইনে পোস্ট করে বসে, 'আপনাকে কত করে আর কীভাবে বললে আপনি গ্রুপে ইনভাইট করা বন্ধ করবেন? আপনি হয় ইনভাইট বন্ধ করুন নাহয় আপনাকে ব্লক করবো।'

হঠাৎ টুং করে মেসেজ এলো, 'প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করেছি। কেমন হয়েছে বলতো?'

আমি না দেখেই বললাম, 'ভালো হয়েছে।'

'কমেন্ট বক্সে লিখে দে তাহলে।'

কমেন্ট করতে গিয়েই খেয়াল করে দেখলাম আম্মু এবার নিজের একার ছবি দিয়েছে৷ তাও অনেক বছর আগের ছবি। ছবিতে বয়সও বেশ কম দেখাচ্ছে।
ক্যাপশনে লিখেছে, 'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে.....'

কমেন্ট করা শেষে মেসেজ করলাম, 'হঠাৎ প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করলে কেন?'

'তোর আব্বুর সাথে আমার যতগুলো ছবি তাতে বয়স বেশি দেখায়। আমার সমান মহিলারাও আমাকে আন্টি ডাকে। তাই নিজের একার ছবি দিয়েছি।'

'এখন সবাই কি ডাকে?'

আম্মু কয়েকটা খুশির ইমোজি দিয়ে লিখলো, 'আপু'।

এতসবের পরেও আমি আম্মুকে আনফ্রেন্ড কিংবা ব্লক করতে পারছি না। কারণ আম্মু খুব করে অনুরোধ করেছে আমি যেন তাকে আব্বুর মত কখনো আনফ্রেন্ড কিংবা ব্লক না করি। তাই নিরুপায় হয়ে তার আইডি আনফলো করে রাখলাম।

ভার্সিটিতে পা দিতেই লিমা আর আনিকা আমার সামনে হন্তদন্ত হয়ে দাঁড়ায়।
আমি কিছু বলার আগেই লিমা বললো, 'আন্টির কী এটা করা ঠিক হয়েছে বল?'

'কী করেছে? কোন আন্টি?' আমি বেশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম।

'তোর আম্মু।' লিমা বললো।

'কী করছে সে?'

'আমার আর আনিকার ড্রেসটা দেখ ভালো করে।'

'দেখলাম।'

'অনুমান করে বল, কত দাম হতে পারে?'

আমি ধারণা করে বললাম 'সাত-আট শত হবে হয়তো। কেন?'

'তোকে তাহলে শুরু থেকেই বলি।'

আমি আগ্রহ সহকারে বললাম, 'বল।'

'আমাদেকে আন্টি ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠানোর পরে আমরা অ্যাক্সেপ্ট করেছি। তোর আম্মু অ্যাক্সেপ্ট তো করতেই পারি। সে তার পেজেও ইনভাইট করেছে। এটাও ঠিক আছে, আমরা লাইক দিলে যদি তার ব্যবসার উন্নতি ঘটে এতটুকু সাহায্য তো করা উচিৎ। তাই না?'

আমি মাথা নেড়ে 'হ্যাঁ' বললাম। 

'তারপর থেকে সে বিভিন্ন গ্রুপে ইনভাইট করা এবং মেসেঞ্জারে ড্রেসের ছবি পাঠানো শুরু করে। পরে তাকে বললাম, আন্টি আমার ড্রেস লাগলে আমিই আপনাকে জানাবো আপনার এত কষ্ট করে ছবি পাঠাতে হবে না। কিন্তু সে একদিন খুব করে অনুরোধ করলো, আমি যেন তার পেজ থেকে একটা ড্রেস কিনি। তো আমি ভাবলাম, এত করে যখন বলছে একটা ড্রেস কিনবো।'

আমি পরবর্তী ঘটনা জানার জন্য অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, 'তারপর?'

'সেদিন তার পেজে কিছু ড্রেসের ছবি দেখে একটা ড্রেস পছন্দ করি। আমি কমেন্টে দাম জিজ্ঞেস করলে বললো, ইনবক্সে কথা বলতে। ইনবক্সে সে মেসেজ দিয়ে বলে, পরবর্তীতে আমি যেন কমেন্ট বক্সে দাম জিজ্ঞেস না করি।'

'কেন বারণ করেছিল?'

'অন্য পেজের লোকেরা নাকি তার ড্রেসের দাম কপি করবে।'

'তারপর ড্রেসের দাম কত বললো আম্মু?'

'সাড়ে ছয় হাজার টাকা। আমি তাকে অনুরোধ করলাম দাম কমানোর জন্য।'

'কমায়নি?' 

'সে বললো, এই ড্রেস নাকি অন্য কোনো পেজে পাব না। আমেরিকার একটা শপিংমল থেকে আনিয়েছিলেন তিনি। চায়নিজ কাপড়ের ড্রেস। করোনা ভাইরাসের জন্য দেশে থাকা চায়না জিনিসের দাম বেড়ে তিনগুণ হয়ে গিয়েছে, তাই নাকি দাম কমানো সম্ভব নয়।'

আনিকা বিদ্রুপের স্বরে বললো, ' আমেরিকার সাথে তো চায়নার খুবই শত্রুতা ওরা কেন চায়নিজ কাপড়ের ড্রেস ওদের দেশে রাখবে?'

লিমা বললো, 'আমি প্রশ্নটা তাকে করেছিলাম। সে বললো, উপরে উপরে শত্রুতা থাকলেও ভিতরে ভিতরে ঠিকই একজনের কাজে অন্যজনকে দরকার পড়ে।'

আমি হতাশ কন্ঠে জিজ্ঞেস করলাম, 'তারপর কী হলো?'

'সে নাকি আট হাজার টাকায় বিক্রি করে, কিন্তু আমার জন্য কম রাখবে। অন্য কাউকে দাম বলতে নিষেধও করেছে। আমি বিকাশে টাকা পাঠানোর তিনদিন পর ড্রেসটা পাই। আজ ক্যাম্পাসে আসতেই দেখি একই ড্রেস আনিকার গায়ে। জানলাম, আনিকাও আন্টির পেজ থেকে নিয়েছে।'

আমি আনিকা'কে জিজ্ঞেস করলাম, 'কত টাকা দিয়েছিস?'

আনিকা উত্তর দিল, 'চার হাজার। আমাকেও দাম বলতে নিষেধ করেছে।' 

লিমা আরও চটে গিয়ে বললো, 'ঘটনা এখানেই শেষ নয়। জুনিয়র দুইটা মেয়ের গায়েও একই ড্রেস দেখলাম। একজন আড়াই হাজার টাকা দিয়ে অনলাইনের একটা পেজ থেকে কিনেছে। আর অন্যজন ডাকবাংলা থেকে নিয়েছে। এরকম ড্রেস নাকি মার্কেটেই পাওয়া যায়, দাম মাত্র এক হাজার টাকা।'

আমি কিছু বলতে যাব ঠিক তখন আনিকা বললো, 'আন্টি এইমাত্র আমাকে মেসেজ করেছে। লিখেছে, ড্রেসটা সম্পর্কে তার গ্রুপে একটা সুন্দর রিভিউ দিয়ে দিতে।'

আমি কী বলব ভাবছি! ওরা রাগে গজগজ করতে করতে চলে গেল। 

বাসায় গিয়ে দেখি আম্মু তার আইডিতে লাইভ করছেন।
বিভিন্ন ড্রেস দেখাচ্ছেন আর বলছেন, 'বিশেষ ছাড়ে আপনারা এইসব ড্রেসগুলো পাচ্ছেন খুবই সুলভ মূল্যে। পাঁচ হাজার টাকার ড্রেস এখন মাত্র চার হাজার নয়শত নিরানব্বই টাকা। এত সুলভ মূল্যে আর কেউ আপনাকে দিতে পারবে না৷'

অনলাইনে গিয়ে লাইভের কমেন্ট চেক করে দেখি লোকজনের হাহা ইমোজির ছড়াছড়ি। অনেকেই পাবনা যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। 

আমি তাড়াতাড়ি আম্মুর আইডির লিঙ্ক নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করে লিখে দেই, 'দয়া করে সবাই রিপোর্ট করুন।'

সন্ধ্যায় আম্মু এসে মন খারাপ করে বললো, 'আমি আর ফেসবুক চালাবো না রে। ব্যবসাও না।'

খুব অবাক হওয়ার ভঙ্গিতে বললাম, 'কেন আম্মু?'

'আমি কম দামে ড্রেস বিক্রি করি বলে অন্য বিক্রেতাদের সহ্য হয় না। তাই তারা আমার আইডিটা নষ্ট করে দিয়েছে। এখন আর এসবে মন টানছে না।'

আমার খুশি যেন ধরে না। আম্মু তার সিদ্ধান্তে অটল রইলো। আবার আগের মত সুখ শান্তি ফিরে এলো বাড়িতে।

কিন্তু সুখ শান্তি বেশিদিন স্থায়ী হয় না। খিচুড়ি রান্না শিখতে এক হাজার লোক বিদেশে যাবে শুনে আম্মু মোবাইল নিয়ে এসেছে ইউটিউব চ্যানেল খুলবে বলে। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার চ্যানেলে হাজার রকমের খিচুড়ি রান্না শিখাবে। 

জিজ্ঞেস করলেন, 'চ্যানেলের নাম কী দেওয়া যায় বলতো?'

আমি হেসে বললাম, 'জগাখিচুড়ি।'

আম্মু কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন আমার দিকে। 

গল্প: জগাখিচুড়ি।
লেখা: মাহ্ফুজা রহমান অমি।

Comments

Science

Popular Posts

ভটচাজ সাহেব

এবার তোরা ত্রিশূল ধর

বাংলার তুল্য শ্রুতিমধুর আর কোন ভাষা!

কেমন আছো আকাশ

।। বৃত্ত টা কিন্তুু ছোটো হয়ে আসছে, আপনি সুরক্ষিত তো? ।।

ধসা বামুন

ছিদ্রান্বেষণ

1.দুইটি পরমাণুর ভর সংখ্যা একই হলেও, নিউট্রন সংখ্যা কম হয় কেন? নিউট্রন কেন আধান নিরপেক্ষ?

অহল্যা

চিঠি