ধনীরা বলে অর্থউপার্জন সবচেয়ে কঠিন আর জ্ঞানীরা বলে জ্ঞান অর্জন সবচেয়ে কঠিন।

 

সংক্ষেপে:- আমি প্রথমে জ্ঞান তারপর ধন।

বিস্তারিত:-

ধনীরা বলে অর্থউপার্জন সবচেয়ে কঠিন আর জ্ঞানীরা বলে জ্ঞান অর্জন সবচেয়ে কঠিন।

আমি নিজে জ্ঞানের উপাসক তাই আমি যেটা বলব সেটার নিরপেক্ষতার কাটা হয়তো জ্ঞানের দিকে 45° ঝুঁকে থাকবে।

আমাদের পূর্বপরুষরা অর্থের চেয়ে জ্ঞানের গুরুত্ব অনেক বেশি দিয়েছেন। কারণ জ্ঞান অর্জন করতে অনেক সময় দরকার আর জ্ঞান দান করলে কমে না বরং বাড়ে। কিন্তু অর্থ দান করলে কমবে।

আপনাকে যতই অর্থ দেওয়া হোক না কেনো আপনার সঠিক জ্ঞান না থাকলে সেটা দুইদিনেই নষ্ট হয়ে যাবে।

প্রাচীন কালে এটাই বলা হয়েছে যে, বিদ্যা রত্ন মহাধন।

বিদ্বত্ত্বঞ্চ নৃপত্বঞ্চ নৈব তুল্যং কদাচন।
স্বদেশে পূজ্যতে রাজা বিদ্বান্ সর্বত্র পূজ্যতে।।1

অর্থাৎ : বিদ্যাবত্তা এবং রাজপদ কখনোই সমান হয় না। রাজা কেবলমাত্র নিজ রাজ্যেই সম্মান পান, বিদ্বান (স্বদেশ-বিদেশ) সর্বত্র সম্মান পান।

নক্ষত্রভূষণং চন্দ্রো নারীণাং ভূষণং পতিঃ।
পৃথিবীভূষণং রাজা বিদ্যা সর্বস্য ভূষণম্ ।।2

অর্থাৎ : চাঁদ তারকাদের অলঙ্কার, স্বামী নারীর অলঙ্কার, রাজা পৃথিবীর অলঙ্কার আর বিদ্যা সকলজনের অলঙ্কার।

রূপযৌবনসম্পন্না বিশালকুলসম্ভবাঃ।
বিদ্যাহীনা ন শোভন্তে নির্গন্ধা ইব কিংশুকাঃ।।3

অর্থাৎ : বিদ্যাহীন পুরুষ রূপযৌবনযুক্ত অথবা উচ্চবংশজাত হলেও গন্ধহীন পলাশ ফুলের মতো সমাদর লাভে সক্ষম হন না।

প্রথমে নার্জিতা বিদ্যা দ্বিতীয়ে নার্জিতং ধনম্ ।
তৃতীয়ে নার্জিতং পুণ্যং চতুর্থে কিং করিষ্যতি।।4

অর্থাৎ : জীবনের প্রথমভাগে (অর্থাৎ বাল্যে) যিনি বিদ্যা অর্জন করেননি, জীবনের দ্বিতীয়ভাগে (অর্থাৎ যৌবনে) যিনি ধন অর্জন করেননি, জীবনের তৃতীয়ভাগে (অর্থাৎ প্রৌঢ়দশায়) যিনি পুণ্য অর্জন করেননি- জীবনের চতুর্থভাগে (অর্থাৎ বার্ধক্যে) তিনি আর কী করবেন ? অর্থাৎ তখন আর কিছুই করণীয় থাকবে না।

আমদের দেশে সবাই জ্ঞান উপার্জনকে প্রথমে এবং ধন উপার্জনকে দ্বিতীয় স্থানে রেখেছে।।

সবচেয়ে বড় কথা হলো মানুষ যখন জ্ঞান চর্চা করে তখন তার চিন্তাশীল মননের বিকাশ ঘটে। সে তখন ভাবতে শেখে ,প্রশ্ন করতে শেখে, কোনো সমস্যা হলে সেটার দ্রুত সঠিক সমাধান করতে পারে।

আমি অর্থের গুরুত্ব অস্বীকার করছি না, তবুও জ্ঞান অর্জন সবার প্রথমে, এবং তারপর অর্থ উপার্জন।

কেউ একজন বলেছিলেন যে, ধন যতই উপার্জন করা হোক না কেনো তা সঠিক পাত্রে না পড়লে মূল্যহীন হয়ে যায়, কারণ সেটার ব্যাবহার ঠিকঠাক করতে পারে না । তাই ধন উপার্জন করে ধনী যদি জ্ঞানী কে দেয় তবে সেটার সঠিক ব্যাবহার হয় সম্ভব ।।☺️

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।।।

Comments

Post a Comment

Thank you, Stay connected & subscribe to this blog...

Science

Popular Posts

ভটচাজ সাহেব

এবার তোরা ত্রিশূল ধর

বাংলার তুল্য শ্রুতিমধুর আর কোন ভাষা!

কেমন আছো আকাশ

।। বৃত্ত টা কিন্তুু ছোটো হয়ে আসছে, আপনি সুরক্ষিত তো? ।।

ধসা বামুন

ছিদ্রান্বেষণ

1.দুইটি পরমাণুর ভর সংখ্যা একই হলেও, নিউট্রন সংখ্যা কম হয় কেন? নিউট্রন কেন আধান নিরপেক্ষ?

অহল্যা

চিঠি